পূজার সাজে শরতের স্নিগ্ধতা
ফ্যাশন

পূজার সাজে শরতের স্নিগ্ধতা

পূজার সাজ-

পূজা মানেই আনন্দ, পূজা মানেই উৎসব। উৎসব মানেই নতুন জামা কাপড় কেনাকাটার ধুম। উৎসবের সাজে নিজেকে সাজিয়ে তোলার, সবাইকে রাঙিয়ে তোলার নানা আয়োজন। শরৎ মানেই কাশফুল, সাদা হাসি। শরৎ মানেই ঢাকের আওয়াজ।! পূজার আনন্দ বার্তা। দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার আগমন। বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব। সময় পাল্টাবার সাথে সাথে পূজার ফ্যাশনও পাল্টেছে। পূজার সাজ হওয়া চাই একদম অন্যরকম। সারাবছর জিন্স কুর্তা। কিন্তু পূজা মানেই আধুনিকতা আর আভিজাত্যের মেলবন্ধন। তাই পূজায় শাড়ি পরার ঝোঁক বেশি।। যদিও সময়টা এখন ফিউশনের। এই সময়ে নতুন নতুন ট্রেন্ড তো চলছেই। কখনো কখনো রমণীরা সাবেকিয়ানা রূপেও সেজে উঠছে। ফ্যাশনের এই যুগে তরুণীরাও পুরনো বা সাবেকিয়ানাকে গ্রহণ করছে খুব সহজভাবেই। কপালে লাল টিপ, লাল চুড়ি, এলো খোপায় জড়ানো লাল জবা সব কিছুতেই দুর্গা পূজার দুর্গতিনাশিনীর রাজকীয়তার আবেদন প্রকাশ পায়। বাঙালি নারীর পরনে শাড়ির আবেদন চিরন্তন। গরদ, সিল্ক, জামদানি আর সুতির পোশাকের চাহিদাতো সারা বছরই থাকে। পূজাতেও তা বাদ যায় না। পূজার পোশাকের নক্সায় জমকালো ফিউশন নেই। কিন্তু পূজার বিভিন্ন জিনিস স্বস্তিকা, চক্র, বেলপাতা এছাড়াও আরও নানান পূজার অনুসঙ্গ শাড়ি বা পোশাকে থাকলেই শারদীয়ার জন্য পারফেক্ট।

কেমন হবে পূজার সাজঃ

পূজার সবচেয়ে বড় আনন্দ সকালে অঞ্জলি দেয়া আর বিভিন্ন মন্দির ঘুরে বেড়ানো। তাই পূজা দেয়ার আগে নিজের সাজের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। পূজার দিনগুলোতে প্রতিদিনই চাই ভিন্ন সাজ আর আকর্ষণীয় লুক। পোশাক পরা থেকে শুরু করে চুল, মুখের সাজ- সবকিছুতেই যেন পূজার রেশ পাওয়া যায়। ষষ্ঠী থেকে দশমী টানা পাঁচ দিন। তাই সাজার সুযোগটা বেশি। দেশি বা পাশ্চাত্য যে ধাঁচেই সাজেন না কেন- খেয়াল রাখতে হবে এতে যেন আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সপ্তমী থেকে পূজার ঘোরাঘুরির মূল আনন্দ শুরু হয়। তাই এ দিনের সাজ-সজ্জার খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নজরে রাখা জরুরি। পুজোর দিনগুলোয় মেয়েরা কখন কেমন সাজ দেওয়া উচিত সে অনুয়ায়ী সেজে উঠতে পারে। যেমন- শুভ্র সকালে পুজো করতে বসলে সুতির শাড়ি পরতে পারেন। দুপুরে গরম থাকবে। তাই দুপুরে সুতির শাড়ি, সুতির সালোয়ার কামিজ হতে পারে বেস্ট অপশন। তা ছাড়া রাতের সাজে হাল ফ্যাশনের ট্রেন্ডি লুক বা গর্জিয়াস লুক নিতে পারেন। তবে সম্পূর্ণ সাজটাই নির্ভর করবে তারা কখন কীভাবে সেজে উঠতে চাইছে তার ওপর। ভারী গহনা, ভারী শাড়ি যেমন- বেনারসি, কাতান পরেও কিন্তু পুজোর সাজ দেওয়া যায়। আর এতে ফুটে ওঠে আভিজাত্য। যারা শাড়ি হিসেবে বেনারসি, কাতান শাড়ি বেছে নিতে চান তারা ভারী গহনা পরতে পারেন। আবার যারা সিল্ক, মসলিন শাড়ি পরবেন তারা একটু হালকা ধরনের গহনা বেছে নিতে পারেন। এখন অনেকেই বুটিকের পোশাক পছন্দ করেন। বেশ হালকা কিন্তু দারুন স্টাইল মেনটেন হয়। তাই এবার পূজায় বুটিকের শাড়ির চাহিদা বেশ ভালো। শাড়ির সঙ্গে সব ধরনের চুল বাঁধাই ভালো দেখায়। চুল খোলাও থাকতে পারে শাড়ির সঙ্গে। এতে ট্রেন্ডি লুক আসবে। ওদিকে সালোয়ার কামিজ বা অন্য কোনো পোশাকের সঙ্গে খোঁপা না করাই ভালো। এর বদলে বেণি বা খোলা চুল ভালো দেখাবে। মূল কথা, আপনার সাজটা এমন হওয়া জরুরি যাতে আপনি আরাম অনুভব করেন। পুজোর দিনগুলোয় ঐতিহ্যবাহী পোশাকের বাইরের পোশাকেও সাজে ভিন্নতা আনতে পারেন। বিশেষত, সপ্তমী বা অষ্টমীর রাতে বাড়ির পুজো প্রাঙ্গণের আড্ডায় একটু হালকা ধাঁচের পোশাক পরতে পারেন। চাইলে ওয়েস্টার্ন লুকেও সেজে উঠতে পারেন। 

সবশেষ কথা হলো, কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নয়, সাবেকিয়ানা হোক বা আধুনিক স্টাইল স্টেটমেন্ট; সম্পূর্ণটাই নির্ভর করবে আপনি ঠিক কেমন সাজে সেজে উঠতে চান তার ওপর।

পোশাক বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুকগ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদেরপেইজ

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *