অনুষ্ঠান এর দিনগুলোয় কিভাবে করবেন চুলের সাজসজ্জা
সাজগোজ

অনুষ্ঠান এর দিনগুলোয় কিভাবে করবেন চুলের সাজসজ্জা

চুলের সাজসজ্জা

অনুষ্ঠান এর দিনগুলোয় নতুন পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চুলের সাজসজ্জা কেমন হবে, তা নিয়েই চলতে থাকে নানা জল্পনা কল্পনা। সব সময় হয়তো পার্লারে গিয়ে চুল বাঁধার সময় হয় না। তাই বাড়িতেই চুলের সাজে আনতে পারেন বৈচিত্র্য। অনুষ্ঠান, পার্বণে কায়দা করে চুল বাঁধবেন না? নিশ্চয়ই বাঁধবেন, কিন্তু তার আগে চুলের ঠিকমতো যত্ন নিতেও হবে যাতে কোনও ক্ষতি না হয়। যে কোনও হিট স্টাইল করার আগে চুলে কয়েক ফোঁটা হিট প্রোটেকট্যান্ট সিরাম লাগিয়ে নিলে তাপ সরাসরি চুলের ক্ষতি করতে পারবে না। শুধু স্টাইলিং টুলের তাপই নয়, রোদের তাত থেকে চুলকে বাঁচাতেও হিট প্রোটেকট্যান্ট সিরাম খুবই কাজের। তা ছাড়া চুলের চকচকে ভাব ফিরিয়ে আনতেও মেখে নিতে পারেন হেয়ার সিরাম। নতুন যেকোনো স্টাইল সম্পর্কে জানতে আগ্রহী থাকেন কিছু সংখ্যক মানুষ। এরা সব সময় মানুষের নজরে আসেন এর কারণ নতুন কিছু মেয়েদের পথ চলা। চুলের ক্ষেত্রেও এর বিকল্প নেই । অনেকেই নতুন নতুন স্টাইলে চুল বাঁধতে চান এ ক্ষেত্রে অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকেন এদের মধ্যে আপনিও একজন হয়ে থাকলে এখান থেকে চুল বাধার নতুন স্টাইল শিখে নিতে পারেন যেগুলো আপনি আপনার নিজের চুলে ব্যবহার করতে পারবেন। রইলো কয়েকটি দুর্দান্ত হেয়ারস্টাইলের হদিশ, যা খুব সহজেই করে নেওয়া যায়।

ঐতিহ্যবাহী শাড়িতে আধুনিক সাজঃ
গরদ বা সিল্কের ঐতিহ্যবাহী শাড়ি সঙ্গে পরতে পারেন দেশি নকশায় তৈরি গয়না। সামনের দিকের চুলগুলোকে টেনে নিয়ে উঁচু করে পনিটেল বাঁধুন। হট রোলার দিয়ে পনিটেলে বাঁধা চুলগুলোতে হালকা ঢেউ খেলানো ভাব আনুন। এবার চুলগুলো উল্টে নিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন। গোড়ার দিকে বের হয়ে থাকা বাকি চুলগুলোতে আঙুল দিয়ে ঢেউ খেলানো ভাব এনে ছড়িয়ে দিন। এই ধরনের চুলের সাজে চোখের ওপর-নিচে একটু টেনে গাঢ় করে কাজল দিন।

কোঁকড়া চুলেঃ
সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে সামনের চুলগুলোকে পাফ করে নিতে পারেন। এবার ব্যাককোম্ব করে পেছনে পনিটেল বেঁধে পেছনের চুলগুলোকে ক্রিম্প করে দিন। মুখে ফেস পাউডার লাগিয়ে হালকা ব্লাশন পরুন। পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে চোখের সাজে ব্যবহার করতে পারেন গাঢ় রঙের আইশ্যাডো। কানে পরতে পারেন অ্যান্টিকের দুল।

হালকা রঙে জমকালোঃ
সাদার মতো হালকা কোনো রঙের শাড়িতেও একটু জমকালো ভাব আনতে পারেন। চুলগুলো পনিটেল বেঁধে রোলার দিয়ে কার্ল করে নিতে পারেন। এ ধরনের চুলের সাজে গলা, কান আর হাতে পরতে পারেন পাথর বসানো জমকালো নকশার গয়না। পোশাকে দেশীয় আমেজ আর সাজে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া-এমন নতুন লুকে চমকে দিতে পারেন সবাইকে। এ ক্ষেত্রে হালকা সবুজ বা সোনালি রঙের মসলিন বা টিস্যু শাড়ি বেছে নিতে পারেন। ব্লাউজে থাকতে পারে কমলা আর গাঢ় নীলের মতো উজ্জ্বল রঙের ছোঁয়া। চোখের সাজেও নীল রঙের ব্যবহারে আনতে পারেন স্মোকি ভাব। ঠোঁটের লিপস্টিকে আনতে পারেন কমলা আর লালের সমন্বয়। এবার চুলে মুজ লাগিয়ে বব কাটের আদলে ভেতরের দিকে ঢুকিয়ে ক্লিপ আটকে নিন। এ ধরনের চুলের সাজে আলাদা করে গয়না না পরাই ভালো।

বেণির বাঁধনঃ
রাতের সাজে শাড়ির সঙ্গে চুলগুলোকে একটু উঁচু করে পনিটেল করে নিন। পনিটেল করা চুলগুলোকে দুই ভাগ করে নিন। এবার এক ভাগ চুল দিয়ে আলতো বেণি করে নিন, আরেক ভাগ চুল পেঁচিয়ে মুড়িয়ে নিন বেণির গোড়ায়। শাড়ির রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরতে পারেন নেটের তৈরি লম্বা হাতার ব্লাউজ।

স্কার্টে খোলা চুলঃ
দিনের বেলা বা বিকেলে বের হলে স্কার্ট-টপ পরতে পারেন। এক পাশে সিঁথি কেটে সামনের চুলগুলোকে টুইস্ট করে বেঁধে নিন। ব্লো ড্রাই করে ছেড়ে দিন পেছনের চুলগুলোকে। এই ধরনের চুলের সঙ্গে চোখে ঘন করে কাজল দিয়ে মাশকারা লাগান। চোখকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে কৃত্রিম আইল্যাশও পরতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে লাগাতে পারেন ম্যাট কোনো লিপস্টিক।

পোশাক বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *