রূপচর্চায় বাদাম তেল-
রূপচর্চায় আমরা নানা উপাদান ব্যবহার করে থাকি। যার মধ্যে বাদাম তেল একটি। ত্বককে ময়শ্চরাইজ করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এই তেলের রয়েছে আরো অনেক গুণ। ত্বক এমনকি চুলকে ভালো রাখতেও এটি বেশ উপকারি এই তেল। উপকারিতা গুলো জেনে নিন-
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায়
বাদাম তেল ত্বকের জন্য বেশ উপকারি। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন বলিরেখা, ব্ল্যাকহেডস, রুক্ষ ত্বক ইত্যাদি সমস্যাকে সুন্দর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও চোখের নীচের কালো দাগ খুবই খারাপ লাগে দেখতে। এক্ষেত্রে কাঠবাদাম বেশ উপকারি। কাঠবাদামের পেস্ট বানিয়ে চোখের নীচে বেশ কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে কালো দাগ দূর হবে। এছাড়াও অনেকের চোখের নীচ ফোলা থাকে। এই অতিরিক্ত ফোলা ভাব কমাতেও বেশ সাহায্য করে কাঠবাদামের পেস্ট।
ত্বককে উজ্জ্বল করতে
কাঠবাদামে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই। যা ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এবং রক্তকে পরিষ্কার রাখে। তার ফলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হতে থাকে। রোজ বাদাম তেল ম্যাসাজ করলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও নরম। এছাড়াও ভিটামিন- ই ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে বাঁচায়। ট্যান পরে যাবার হাত থেকে বাঁচায়। ও ত্বককে ড্যামেজ হয়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকে বয়সের ছাপও পড়তে দেয় না। রূপচর্চায় বাদাম তেল এর জুড়ি মেলা ভার।
চুলের যত্নে
কাঠবাদাম ত্বকের সাথে সাথে চুলের যত্নেও বেশ উপকারি। এতে থাকা ভিটামিন- ই, বি-২, বি-৬, এবং ভিটামিন- এ চুলকে শক্ত করে ও নরম রাখে। এছাড়াও সিল্কি বানায়। একটা বাউন্সি লুক দিতে সাহায্য করে। ও এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে পুষ্টি যোগায়। তাই চুলকে সুন্দর ঘন ও লম্বা রাখতে ব্যবহার করুন বাদামতেল।
অন্যান্য সমস্যায়
হার্ট, ত্বক চুল ছাড়াও বাদাম তেল ডায়াবেটিসের সমস্যায় একটি কার্যকরী সমাধান। এটি রক্তের অতিরিক্ত সুগার লেবেলকে কম করে। ডায়াবেটিস ছাড়াও কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার হাত থেকে বাঁচায়। এই ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ওষুধ হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও বেদনা নাশক হিসাবেও কাজ করে বাদাম তেল। ব্যাথার জায়গায় বাদাম তেল মালিশ করলে ব্যাথা হালকা কমে। এগুলি ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ করতে বাদাম তেল অনন্য। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা রোজ বাদাম তেল খান উপকার পাবেন।
বককে উজ্জ্বল করতে বাদাম তেলঃ
বাদামে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই। যা ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এবং রক্তকে পরিষ্কার রাখে। তার ফলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হতে থাকে। রোজ বাদাম তেল ম্যাসাজ করলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও নরম। এছাড়াও ভিটামিন- ই ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে বাঁচায়। ট্যান পরে যাবার হাত থেকে বাঁচায়। ও ত্বককে ড্যামেজ হয়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকে বয়সের ছাপও পড়তে দেয় না।
চুলের যত্নে বাদাম তেলঃ
কাঠবাদাম ত্বকের সাথে সাথে চুলের যত্নেও বেশ উপকারি। এতে থাকা ভিটামিন- ই, বি-২, বি-৬, এবং ভিটামিন- এ চুলকে শক্ত করে ও নরম রাখে। এছাড়াও সিল্কি বানায়। একটা বাউন্সি লুক দিতে সাহায্য করে। ও এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে পুষ্টি যোগায়। তাই চুলকে সুন্দর ঘন ও লম্বা রাখতে ব্যবহার করুন বাদামতেল।
চুলের বিভিন্ন সমস্যায় বাদাম তেলঃ
অকালে চুল ঝরে যাওয়া এখন একটি জাতীয় সমস্যার মত। যাতে সবাই আক্রান্ত। আসলে এটি হয় দেহে ফসফরাসের অভাব থেকে। কিন্তু কাঠবাদামে আছে প্রচুর পরিমানে ফসফরাস। তার ফলে এটি চুল ঝরে যাওয়া যেমন রোধ করে, তেমনি নতুন চুল গজাতেও বেশ সাহায্য করে। এছাড়াও যারা খুশকির সমস্যায় ভুগছেন তারা বাদাম তেল ও নিমতেল একসঙ্গে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে সারারাত রাখুন। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। খুশকির সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
অন্যান্য সমস্যায় বাদাম তেলঃ
হার্ট, ত্বক চুল ছাড়াও বাদাম তেল ডায়াবেটিসের সমস্যায় একটি কার্যকরী সমাধান। এটি রক্তের অতিরিক্ত সুগার লেবেলকে কম করে। ডায়াবেটিস ছাড়াও কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার হাত থেকে বাঁচায়। এই ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ওষুধ হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও বেদনা নাশক হিসাবেও কাজ করে বাদাম তেল। ব্যাথার জায়গায় বাদাম তেল মালিশ করলে ব্যাথা হালকা কমে। এগুলি ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ করতে বাদাম তেল অনন্য। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা রোজ বাদাম তেল খান উপকার পাবেন
ত্বকের যত্নে বাদাম তেলঃ
- বাদাম তেল বা আমন্ড অয়েলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন “ই”, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
- নিয়মিত ব্যবহারে এই তেল আপনাকে দিতে পারে একটি চমকপ্রদ এবং গ্লোয়িং স্কিন।
- শুধু তাই নয়, ব্যবহারের নিয়মানুবর্তিতা, স্কিন ক্যান্সারের প্রটেকশন হিসাবেও একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে।
- বাদাম তেল স্কিনে খুব সহজ ভাবে মিশে যায়। ভিটামিন “এ” গুণসম্পন্ন এই তেল, ত্বকের ব্ল্যাকহেডস বা পিম্পল-এর মত সকল সমস্যাকে চিরতরে মুক্তি দেয়।
- ডার্ক সার্কেল রিমুভ করতে বাদাম তেল, মিরাকেল-এর মতন কাজ করে।
- স্কিন র্যাশ-এর সমস্যায় এর তুলনা অকল্পনীয়। ন্যাচারাল ট্রিটমেন্ট করে, স্কিনে ফেয়ারনেস আনতে, এর জুড়ি মেলা ভার।
- এমনকি কয়েকটা বাদাম পেস্ট করে, প্রতিদিন নিয়ম করে, স্কিনে মেসেজ করলে, এটুকু বলতে পারি, একটা ডিফারেন্ট লুকের অধিকারিনী আপনিও হয়ে উঠবেন।
- স্কিন ইরিটেশন-এর ক্ষেত্রে বাদাম তেল খুবই পাওয়ারফুল।
- হালকা এবং ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ এই তেল স্কিনে, প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি যোগাতে সক্ষম যা স্কিন ট্যান রোধ করে।
- এছাড়াও এটি একটি ফ্যান্টাস্টিক ন্যাচারাল মেকআপ রিমুভার।
চুলের যত্নে বাদাম তেলঃ
- পলিউশন, ডাস্ট, কেমিক্যাল, হেয়ার কালার ইত্যাদি কারণে স্ক্যাল্পে অনেক সময় ইনফেকশন হয়।
- প্রপার কেয়ার না নিলে, অকালে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে। ড্যানড্রাফ এর সমস্যা দেখা দেয়।
- একমাত্র বাদামতেল-ই পারে এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি দিতে।
- এই তেলের নিয়মিত ব্যবহার, মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল ঠিক রাখে, চুলের পুষ্টি যোগায়, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- প্রচুর পরিমাণে মশ্চারাইজার থাকার দরুন, আমন্ড অয়েল (বাদাম তেল) একটি ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
- বাদাম তেল দুই রকমের হয়, একটি মিষ্টি আরেকটিতে তেতো। আর এই তেঁতো তেল-ই চুলের যত্নের কাজে লাগে।
- ভিটামিন ই, ফ্যাটি এসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এই তেল ব্যবহারের নিয়মানুবর্তিতা, ড্রাই অথবা ফ্রিজি হেয়ার কে সফট বা কোমল করে, চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল সিল্কি এবং শাইনি করে, গোড়া থেকে চুল ভাঙ্গা রোধ করে।
সত্যি কথা বলতে, শুধুমাত্র রূপচর্চায় বাদাম তেল এর ব্যবহার নয়, এছড়াও বাদাম তেল এমন একটি এসেনশিয়াল অয়েল যার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। তাহলে দেখলেন তো, ত্বক এবং চুলের যত্নের ক্ষেত্রে বাদাম তেল, কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে!
পোশাক বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ