সুতিতে স্বাচ্ছন্দ্য-
আমরা বাঙ্গালী, আমাদের পোশাকের রয়েছে হাজার বছরের ঐতিহ্য। বাঙালী নারীর পোশাক মানেই শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ, আর ছেলেদের বেলায় লুঙ্গি, ধুতি, পাজামা-পাঞ্জাবি। কালের বিবর্তনে আমরা আমাদের দেশীয় পোশাকের ঐতিহ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের সংমিশ্রণ ঘটিয়েছি। তবে যে পোশাকই পরা হোক না কেন কাপড়ের ক্ষেত্রে সুতির কোন বিকল্প নেই। সুতির পোশাক অত্যন্ত আরামদায়ক। সব ঋতুতেই সুতি কাপড়ের জুড়ি নেই। তাছাড়া সুতি কাপড় পোশাক পরলে যে কোন নারী- পুরুষের মাঝে একটি মার্জিতভাব প্রকাশ পায়। সুতি কাপড়ের আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে এটি সহজলভ্য। গরমের সময়ে সুতির কাপড়ের আবেদন যেন একটু বেশি। কারণ এই গরমে সবাই সুতিতে স্বাচ্ছন্দ্য। প্রচন্ড গরমে সুতি কাপড়ের পোশাক দেহে ও মনে স্বস্তি এনে দেয়। আজকাল আমাদের ফ্যাশন হাউজগুলোতেও সুতি কাপড়ের প্রাধান্য লক্ষণীয়। ফ্যাশন হাউসগুলো সময়ের চাহিদাকে মাথায় রেখে তৈরি করছে বিভিন্ন ডিজাইনের সুতির পোশাক। আজকাল আবার সুতি কাপড়ের ওপর দেশাত্ববোধকে ফুটিয়ে তুলতে এসব হাউসগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সুতি কাপড়ের পোশাক যেমন গরম থেকে স্বস্তি দিবে তেমনি ফ্যাশন হিসেবেও মানানসই। সুতি কাপড়কে যে কোনভাবে অর্থাৎ মনের মতো করে সাজানো যায়। শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা পৃথিবীতে সুতি কাপড় জনপ্রিয়। এদেশে বহুকাল থেকেই সুতি কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে। এক সময় আমাদের সুতি-মসলিন কাপড় সারা পৃথিবীতেই বিখ্যাত ছিল। বর্তমানে কয়েকটি অঞ্চল সুতির জন্য বিখ্যাত। টাঙ্গাইল, নরসিংদী, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জেও কিছু সুতির কাজ হয়।
সুতি কাপড়ের ইতিহাসঃ
ইতিহাস বলে, ইউরেশিয়ার যে অধিবাসী নরম এ তুলার চাষ এবং তা দিয়ে নিত্যব্যবহার্য পোশাক বুনতে শুরু করে, তারা ছিল মূলত সিন্ধু নদের তীরে গড়ে ওঠা হরপ্পার বাসিন্দা। সভ্যতার প্রারম্ভে আফ্রিকা থেকে এসে এরা বসতি গড়ে এ অঞ্চলে। গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডটাস ৪০০ খ্রিস্টপূর্বের নিজের লেখায় উল্লেখ করেন, ‘ভারতে বন্য এক প্রজাতির গাছের দেখা মেলে, যা এক ধরনের পশম উৎপাদন করতে সক্ষম। তবে সে উল বা পশম, তার সৌন্দর্য আর গুণগত মানের দিক দিয়ে ভেড়ার লোম থেকে পাওয়া পশমের চেয়ে উন্নত, আকর্ষণীয়। আর তা দিয়ে ভারতীয়রা নিত্যদিনের পোশাক বুনে থাকে।’শুধু হেরোডটাসের এ ভাষ্য নয়, বিখ্যাত অজন্তা গুহার ভাস্কর্যেও দেখা মেলে ভারতের তুলাচাষীদের। গুপ্ত যুগে ভারতীয়রা কার্পাস বস্ত্রকে অন্যতম অভিজাত পণ্য হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিমে বসবাসকারী চীন ও পার্থিয়ান অধিবাসীদের কাছে তা বিক্রি করত। আরো পশ্চিমে রোমানরা এ তুলাকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত আর দামি পণ্য হিসেবেই মনে করত। আরব অথবা পার্থিয়ান বণিকদের থেকে এ পণ্য ক্রয় করত তারা। রোমান লেখক দার্শনিক প্লিনির লেখায়ও হদিস মেলে তুলার। ভারত ও পেরুতে খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীরও আগে থেকে তুলা ব্যবহারের কথা লেখা আছে ইতিহাসে। ইউরোপে তুলার প্রবেশ নবম শতাব্দীর দিকে আরব বেদুইনদের হাত ধরে ইতালির সিসিলিতে। সিল্কের মতোই অভিজাত পণ্য হিসেবে তুলাকে গণ্য করার পাশাপাশি ইউরোপীয়দের কাছে শৌখিন নকশার সুতি কাপড় ছিল। সুতির জনপ্রিয়তা আছে ও থাকবে ।
সুতিতে আরামঃ
ঐতিহ্য আর হাল ফ্যাশনের আধুনিকতা। অনেকের ধারণা সুতি কাপড়ের পোশাকে নিজেকে স্টাইলিশভাবে উপস্থাপন করা যায় না। আসলে ধারণাটা ভুল। আসলে সব প্রজন্মের উপযোগী ফ্যাশনেবল পোশাকও তৈরি করা যায় ডিজাইনে নতুনত্ব এনে। অনেকেই ধারণা করেন, সুতি কাপড়ে ফ্যাশনটা ঠিক যুঁতসই হয় না। এ ধারণা একদম ভুল। বরং সুতি মানিয়ে যায় সব জায়গাতেই এবং সবাই সুতিতে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে। পার্টি, ইউনিভার্সিটির ক্লাসে, ঈদ-পুজা-বড়দিন, এমনকি কোথাও ট্র্যাভেল করতে হলেও সুতির বিকল্প হয় না। সুতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আরাম। আর বাঙালি বরাবরই আরামপ্রিয়। তাই গরমে সুতি কাপড়ই হলো উত্তম বন্ধু।
সুতিতেও আধুনিকঃ
এদেশে এখন সুতি কাপড়ের রয়েছে অন্যরকম চাহিদা। সব বয়সের নারী-পুরুষের কাছেই এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। সবাই গরমে কিংবা শীতে সুতিতে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে। শাড়ি, পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে শার্ট, ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ পর্যন্ত সব ধরনের পোশাক তৈরি হচ্ছে সুতি কাপড় দিয়ে। চিরায়ত বাঙ্গালী নারীর জীবনে সুতি কাপড়ের যে আবেদন, সেটা অন্য কোন কাপড়ের সঙ্গে মেলানো অসম্ভব। সালোয়ার কামিজ, স্কার্ট, টপস, জিন্স প্যান্ট, ফতুয়া, টি-শার্টসহ নানা ধরনের সুতি কাপড়ে ফ্যাশন হাউসগুলো ভর্তি থাকে সব ঋতুতেই। গরমে সুতিকে প্রাধান্য দেয়া যায় ইচ্ছামতো। প্রতিদিন নিত্যনতুন ট্রেন্ড অনুসরণ করে চলেন যারা, সেসব তরুণী আগে থেকে ঠিক করে দেয়া ড্রেস কোড মেনে চলবে, তা কি হয়! শনিবার যদি দেশি সাজের নির্মলতা দিয়ে ছুঁয়ে দেয় তারা তো রোববারে রক-ওয়েস্টার্ন। এমনি করে সপ্তাহভর প্রতিটি দিনই ফ্যাশন নিয়ে খুনসুটি চলে নতুন প্রজন্মের তারুণ্যের। সে খুনসুটির পাল্লায় পড়ে এ অঞ্চলের বহু পুরনো ঘাঘরা হয়ে যায় স্টাইলিশ স্কার্ট। কিংবা ধুতি কাটের বিবর্তনে একঘেয়ে সালোয়ারের কদর বেড়ে যায় রাতারাতি। লং কামিজের আড়ালে সৌন্দর্য অনেকটাই অব্যক্ত থেকে যায় বলে ধুতি বা পালাজো কাট স্যালোয়ারের সঙ্গে শর্ট টপসে। কিংবা কামিজের দৈর্ঘ্যে খানিকটা কম হয়ে জনপ্রিয়তা পায় কুর্তিতে। কিংবা আরো আধুনিকার বসনে স্লিম কাটের শার্ট দেয় স্মার্ট লুক সাথে চিনো কাটের ডেনিম! তবে স্ট্রিট স্টাইলে গরমে সুতির বিকল্প নাই। গরমের মৌসুম এলেই ছেলেদের টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, একচ্ছত্র আধিপত্য চোখে পড়ে বিভিন্ন মার্কেট ও ফ্যাশন হাউসগুলোতে। অসহ্য গরমে এসব পোশাক অসাধারণ স্বস্তিদায়ক। আর এসব পোশাক সবই তৈরি হয় সুতি কাপড় দিয়ে।
সুতিতেও ফ্যাশনেবলঃ
আমাদের বসবাস এখন ডিজিটাল সময়ে। প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের নানা দেশের চলতি ধারার খোঁজ আমরা খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছি। এসব ফ্যাশনের খোঁজখবর যারা রাখেন তারা জানেন, আন্তর্জাতিক ফ্যাশনে যা কিছু নতুন আসে, তার ছাপ এ দেশে পড়ে বেশ কিছুদিন পরে। কিন্তু এ পরিবর্তনের মাঝেও সুতি পোশাকের আবেদন গরমে প্রচুর। আধুনিক তরুণীরা চাইলেই সুতি পোশাক পরতে পারেন ট্রেন্ডিভাবে। অনেকের ধারণা সুতি কাপড়ের পোশাকে ফ্যাশনেবল নয়। আসলে ধারণাটি ভুল। এই কাপড়ের পোশাকের কাটে একটু বৈচিত্র্য আনলেই তা বড় পার্থক্য সৃষ্টি করে। কিশোরী ও তরুণীরা সুতির ঢিলেঢালা প্যাটার্নই বেশ বেছে নিচ্ছে। কামিজ জনপ্রিয়, ঝালর দেয়া স্কার্টও মন্দ লাগে না। তাতে হালকা সুতির কাজ থাকছে, ব্লক থাকছে, স্কিন প্রিন্ট থাকছে। ভারী কাজ না থাকাই ভালো। আজকালের তরুণীরা পছন্দ করছে ছোট হাতার লম্বা কুর্তি, হাতাকাটা কামিজ বা ছোট হাতার শার্ট। সালোয়ারের ক্ষেত্রে ধুতি ও প্যান্ট ধাঁচের সালোয়ারটা বেশ পছন্দ করছে সবাই। পোশাকে হাতাকাটা, ছোট হাতার ম্যাগির সঙ্গে নতুন যোগ হয়েছে ঘটি হাতা।
শিশুরাও সুতিতে স্বাচ্ছন্দ্য
শিশুরা সুতিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তাই আপনার শিশুকে এই গরমে অবশ্যই সুতির কাপড় পরিধান করান। এতে ওর আরাম মিলবে খুব সহজেই। এই সময় অ্যালার্জি ওঠার সম্ভাবনা থাকে। তাই পাতলা সুতি কাপড় পরাতে ভুলবেন না। শিশুদের নরম ত্বকে সব ঋতুতে সুতির বিকল্প নেই। বাচ্চার শরীরে ঘামাচি আর র্যাশ ওঠার হাত থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই সুতি কাপড় পরাতে হবে।
সুতি কাপড়ের উপকারিতা
- অন্য যে কোন ধরনের কাপড়ের তুলনায় সুতি কাপড় সব সময়ই আরামদায়ক। পোশাকের ক্ষেত্রে বাঙ্গালীর সুতিতে স্বাচ্ছন্দ্য মেলে।।
- গরমে সুতি কাপড় বেশ আরামদায়ক এবং প্রশান্তি এনে দেয়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রা তাই সুতি কাপড় পড়তে বলেন কিছু কারনে।
- সুতি কাপড়ে ঘাম থেকে ভালো ভাবে রেহাই পাওয়া যায়, যেটা কৃত্তিম তন্তুর কাপড়ে সম্ভব নয়।
- সুতি জামা যে কোন আবহাওয়ার জন্য পারফেক্ট। শীত বলেন বা গ্রীষ্ম বলেন, সব সময়েই সুতি জামা ভালো ভাবে আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে পারে।
- এলার্জি বা ত্বকের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা সব সময় সুতি জামা পরিধান করতে বলেন। কৃত্তিম তন্তুর কাপড়ে ত্বকে এলার্জির উৎপত্তি হতে পারে প্রায় সময়েই।
- এছাড়া সুতি কাপড় দীর্ঘস্থায়ী হয় অন্য যে কোন ধরনের কাপড়ের চাইতে।
সুতি কাপড়ের সুবিধাঃ
জলবিদ্যুৎ
সুতির ফাইবারের হাইড্রোস্কোপিসিটি রয়েছে। সাধারণ পরিস্থিতিতে, ফাইবারটি আশেপাশের বায়ুমণ্ডলে জল শোষণ করতে পারে এবং এর আর্দ্রতা 8-10% হয়, সুতরাং এটি মানুষের ত্বকের সাথে যোগাযোগ করে এবং মানুষকে নরম এবং কড়া না বোধ করে। যদি তুলার কাপড়ের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায় এবং পরিবেষ্টনের তাপমাত্রা বেশি থাকে তবে ফাইবারের জলের সামগ্রীগুলি সমস্ত বাষ্পীভূত হয়ে ছড়িয়ে দেবে, যাতে ফ্যাব্রিকটি পানির ভারসাম্য বজায় রাখে, যা মানুষকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
বিবর্তন
যেহেতু সুতি ফাইবার তাপ এবং বিদ্যুতের একটি দুর্বল কন্ডাক্টর, তাপ স্থানান্তর সহগ অত্যন্ত কম, এবং তুলা ফাইবারে নিজেই তীক্ষ্ণতা এবং উচ্চ স্থিতিস্থাপকতা থাকে তাই প্রচুর পরিমাণে বায়ু তন্তুগুলির মধ্যে জমা হতে পারে এবং বায়ু তাপের একটি দুর্বল পরিবাহক is এবং বিদ্যুৎ, তাই খাঁটি সুতি ফাইবার টেক্সটাইলগুলিতে ভাল তাপ নিরোধক রয়েছে এবং সুতির কাপড় পরা লোকজনকে উষ্ণ মনে করে।
তাপ প্রতিরোধের
খাঁটি সুতি ফ্যাব্রিক ভাল তাপ প্রতিরোধের আছে। যখন এটি 110 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে থাকে, এটি কেবল ফ্যাব্রিকগুলিতে জল বাষ্পীভবন ঘটায় এবং ফাইবারের ক্ষতি করবে না। অতএব, তুলো ফ্যাব্রিক স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পরা হয়, এবং ধোয়া এবং রঙ্গিন ফ্যাব্রিক উপর কোন প্রভাব নেই। সুতির কাপড়ের ওয়াশিবিলিটি এবং স্থায়িত্বকে উন্নত করুন।
ক্ষার প্রতিরোধের
সুতির ফাইবার ক্ষার প্রতি দুর্দান্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। ক্ষার দ্রবণে সুতির ফাইবার ভাঙে না। এই সম্পত্তিটি ধোয়ার পরে অশুচিগুলি ধোয়া এবং জীবাণুমুক্ত করার জন্য উপকারী এবং খাঁটি সুতির টেক্সটাইলগুলি রঙ্গিন এবং মুদ্রণ করতে পারে। বিভিন্ন নতুন প্রক্রিয়াজাত করা হয় তুলা আরও নতুন জাত উত্পাদন।
স্বাস্থ্যকর
কটন ফাইবার হ’ল একটি প্রাকৃতিক আঁশ যার মূল উপাদানটি সেলুলোজ, এতে অল্প পরিমাণে ওয়াক্সী পদার্থ এবং নাইট্রোজেন এবং পেকটিন থাকে। সুতির কাপড়টি বিভিন্ন দিক থেকে পরিদর্শন করা হয়েছে এবং অনুশীলন করা হয়েছে। ফ্যাব্রিক কোনও উদ্দীপনা, কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বকের সাথে যোগাযোগ করে এবং এটি দীর্ঘ সময় ধরে মানবদেহের পক্ষে উপকারী এবং এটির স্বাস্থ্যকর পারফরম্যান্স রয়েছে।
এদেশের আবহাওয়ায় সুতি কাপড় অনেক আরামদায়ক। আমাদের সুতির পোশাক বিশ্বের অনেক দেশেই পছন্দ করে।। সুতি কাপড়ের যেমন রয়েছে অনেক সুবিধা, তেমনি সবখানে মানানসইও। শীতে যেমন মোটা সুতি কাপড়ের পোশাক আরামদায়ক তেমিন গরমে পাতলা সুতি’র পোশাক স্বত্বিকর। ঘরে কিংবা বাইরে, এর রাজত্ব সমানতালেই চলতে পারে। কারণ, এই কাপড়ে ফ্যাশনেবল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশজ ঐতিহ্যও বহন করা যায়।
পোশাক বিষয়ক তথ্য পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপ এবং ফলো করুন আমাদের পেইজ